সমস্যা যখন অবাঞ্ছিত লোম

সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেয়েদের ত্বকে হালকা লোম বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিন্তু কোনো কোনো কিশোরীর মুখে ছেলেদের মতো একটু বেশি লোম দেখা যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে হারসুটিজম বলা হয়।
এ অবাঞ্ছিত লোম গালের পাশে, চিবুকে, ঠোঁটের উপরে, বগলে, বুকে বা অন্য স্থানে থাকতে পারে। অনেক সময় হাত ও পায়ের লোমগুলোও মোটা ও ঘন হতে দেখা যায়।
লোম ঘন হওয়া ছাড়াও আরো কিছু সমস্যা দেখা দেয় যেমন: শারীরিক গঠনে পুরুষালি ভাব, ঘাড়ে কালো দাগ, গলার স্বরে অস্বাভাবিকতা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বৃদ্ধি, ব্রণ ইত্যাদি।
এ সব সমস্যা মূলত পুরুষের হরমোন অ্যান্ড্রোজেন (টেস্টোস্টেরন) মেয়েদের শরীরে অধিক পরিমাণে থাকার কারণে হয়ে থাকে। কিছু রোগের কারণে লোমের এ আধিক্য মেয়েদের শরীরে দেখা যায়। যেমন: পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম, কুশিং সিনড্রোম, হাইপোথাইরয়ডিজম, ওভারি বা অ্যান্ড্রেনাল গ্ল্যান্ডের টিউমার ইত্যাদি।
আরো পড়ুন: শুক্রানুই সন্তানের সুস্বাস্থ্যের নির্ধারক: দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা
অবাঞ্ছিত লোমের এ সমস্যা নিয়ে অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা সময়মত গ্রহণ করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। সঠিক রোগ নির্ণয়ের জন্য কিছু হরমোনের শরীরে পরিমাণ জানা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি অতিরিক্ত ওজন অবশ্যই কমিয়ে ফেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লোমের চিকিৎসায় কিছু লেজার চিকিৎসা আজকাল প্রচলিত আছে; যার ফলাফল অত্যন্ত ভালো।