ভেড়ার পাল-খন্দকার সালাউদ্দিন রানা

প্রিয় বন্ধুরা,আজ আমি একটি ভিন্ন ধারার গুরুত্ব পূর্ণ লিখা নিয়ে বরাবরের মত আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
বর্তমানে আমাদের দেশে সব থেকে বড় ধর্মীয় সমস্যা হচ্ছে (পীর-মুরিদী)।
তথাকথিত কিছু নাম ধারী মুসলিম,যারা নিজেদের অনেক বড় পীর বলে দাবি করেন।
এবং ইসলাম বিরোধী বিতর্কিত মতামত প্রকাশ করতে থাকেন।তার পরে ও এদের কাছে হাজার হাজার মানুষ গিয়ে মুরীদ হন।
সর্বপ্রথম একটা কথা বলে রাখার দরকার তা হচ্ছে দয়া করে কেউ আমাকে পীর মুরীদি বিরোধি ভাববেন না।বরং আমি সুধু বাতিল পীরের কিছু পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।আবার মুল কথায় আসি।
মানুষ এই সব পীরদের সম্পর্কে কিছু না জেনে সুনেই দল বেধে ছুটে আসে তাদের দরবারে।
যেখানে দেখা যাচ্ছে পীরের মধ্যে ফরোজ বা সুন্নতের বালাই মাত্র নেই,তার কাছে কি করে অন্ধের মত ছুটে চলে মানুষ।
এ বিষয়ে আমার একটি গল্প মনে পড়েছে,বেশ কয়েক বছর আগে সুনেছিলাম।গল্পটা হচ্ছে,
এক রাজা তার উজির কে ডেকে বল্লেন,উজির তুমি আমার রাজ্যের প্রজাদের কি মনে কর?
উত্তরে উজির বল্লেন রাজা মসাই আমি আপনার প্রজাদের ভেড়ার পাল মনে করি।
রাজা রেগে বলে উঠলেন তাহলে আমাকে তোমার কি মনে হয়?উজির কিছু না ভেবেই বলে উঠলেন আপনাকে তাদের একজন বলেই মনে হয়।
রাজা চিতকার করে বলে উঠলেন তুমি প্রমান করতে পারবে?উজির বল্লেন পারবো মহাশয়।রাজা বল্লেন ঠিক আছে তোমাকে একমাস সময় দিচ্ছি যদি প্রমান করতে পারো তবে মাফ পাবে,আর প্রমান করতে না পারলে তোমার মৃত্যু নিশ্চিত।
ঊজির ঠিক আছে বলে রাজ মহল থেকে বেরিয়ে পড়লেন।
কয়েক দিন পরে উজির পাহাড়ের টিলায় গিয়ে একটি ঝুপড়ি ঘর তুল্লেন,নিজে ছদ্ধবেশ ধরলেন।তার পর কিছু লোক পাঠালেন রাজ্যের আনাচে কানাচে,তারা গিয়ে গুন গান গাইতে লাগলেন যে ঐ ঝুপড়ি ঘরে এক দরবেশ বাবা আসছেন।তার কাছে হাউজে কাউছারের পানি আছে যে যে নিয়োতে পানি পান করবে তাহার মনের আশা পূর্ন হবে।কয়েক দিনের মদ্ধেই রাজ্য জুড়ে তোলপাড় সুরু হয়ে গেলো,দলে দলে মানুষ পানি পান করতে আসছে।রাজা আর রানী ছিলেন বন্ধা,তাই রানী রাজাকে বল্লেন মহাশয় চলেন আমারা ও দরবেশ বাবার কাছে গিয়ে হাউজে কাউছারের পানি পান করি, যদি একটি সন্তান হয়।রাজা না বল্লেন তবে রানীর পিড়াপিরিতে আর থাকতে পারলেন না।রাজা এবং রানী ঝুপড়ি ঘরের সামনে গিয়ে দাড়ালেন।ভেতর থেকে দরবেশ বলে উঠলেন আমার কাছে রাজা বাদশার জায়গানেই,এখানে সকলেই সমান।রাজা আর রানী ভেতরে প্রবেশ করলেন,সামনে দেখতে পেলেন একটি বালথিতে ঘোলা পানি পান করতে হবে ছিড়া জুতা দিয়ে।কি আর করার ছিড়া জুতা দিয়েই দুজনে পানি পান করলেন।সঙ্গে সঙ্গেই উজির ছন্ধ বেশ থেকে বের হয়ে বলে উঠলেন মহাশয় আপনার কি জানানেই যে দুনিয়াতে হাউজে কাউছারের পানি হয় না,হাউজে কাউছারের পানি জুতা কাটা দিয়ে খেতে হয়না।কেউ একজন বল্ল ঐখানে হাউজে কাউ ছারের পানি পাওয়া যায় অমনে হাজার হাজার লোক ভেড়ার পালের মত হাজির হল,আর আপনি ও তাদের সঙ্গেই হাজির হলেন।তাই আমি বলেছি তারা ভেড়ার পাল আর আপনি ও তাদের একজন।
ভেড়ার পালের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যখনি সামনে চলে,সঙ্গ বদ্ধ হয়ে পাল ধরে চলে সামনে কি আছে না আছে তা ভাবেনা।
আসা করি আমার বন্ধুরা খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন।
একজন মানুষের মুখে দাড়ি নেই টুপি নেই সুন্নতি লেভাজ নেই সে যদি পীর হতে পারে।তবে আমি আপনি আমরা সকলেই পীর।
আবার কোন কোন পীর সাহেব মুরীদদের জান্নাতের টিকেট প্রদান করে থাকেন,যিকিরের নামে নাড়ী পুরুষ এক সঙ্গে থাকা,পিরের নামে মান্নত করা।ইত্যাদি ইত্যাদি,এভাবে ভন্ড পীরেরা ধোকা দিয়ে নিজেদের হক পন্থী পীর বলে দাবি করেন।আর হক পন্থীদের বাতেল,কাফের বলে গালি গালাজ করেন।
আল্লাহ তালা আমাদের সকল কে সঠিক পথ দান করুক(আমিন)।