সৈয়দপুরে আওয়ামিলীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রতিনিধি, 

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যাদের বয়স ৩০ বছরের নীচে তারা বিরোধীদলে থাকার যন্ত্রনা ও দলের আন্দোলন-সংগ্রাম দেখেনি, তারা শুধু ক্ষমতায় দেখেছে। ফলে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মীরা এখন অলস হয়ে পড়েছেন। এ সময়ের মধ্যে ক্ষমতাকে কেন্দ্র করে দলে সুবিধাভোগীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। সেখান থেকে দলকে মুক্ত করতে হবে। আলস্য ঝেড়ে ফেলে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে।

আজ ৫ জুলাই শুক্রবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে ড্রীমপ্লাস হোটেল এন্ড রিসোর্টে আয়োজিত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাহাজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বর্ধিত সভা তিনি আরো বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনার কারনে আওয়ামী লীগ ধারাবাহিক ভাবে আজ রাষ্ট্র ক্ষমতায়। বিগত নির্বাচনগুলো বানচাল করতে বিএনপি-জামায়াত ও বিভিন্ন অপশক্তি কাজ করেছে। তারা আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে যুক্ত হয়েও সফল হতে পারেনি। বরং ৮১টি দেশ ও ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরকার গঠন করায় অভিনন্দন জানিয়েছে।

ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছি বিধায় দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগ নাকচ করে তিনি আরো বলেন, আমরাও ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যূৎ নিয়ে আসছি। আগামীতে ভূট্টান থেকে ভারতের ওপর দিয়ে জলবিদ্যূৎ আসবে। আর ঢাকা- কোলকাতা রুটে ট্রেন চলছে বহু বছর ধরে। নৌপথে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে ভারত। ভূট্টান ও নেপালও ভারতের ওপর দিয়ে পণ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর শেষে ফিরে আসার পর বিএনপি নানা বক্তব্য রাখছেন। কারণ তারা সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মানে বোঝে না। এর আগেও বিএনপি বলেছিল সাবমেরিন যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। পরে আমাদের অর্থের বিনিময়ে সাবমেরিনের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়েছে।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ এইচএন আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।

এ ছাড়া সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপি, সাবেক রেলমন্ত্রী এ্যাড. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন।

বর্ধিত সভায় রংপুর বিভাগের অন্তর্গত সকল আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্যবৃন্দ, জেলা, মহানগর ও সাংগঠনিক উপজেলা, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ, দলীয় ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যানগণ এবং পৌরসভার মেয়রগণ উপস্থিত ছিলেন।