সমগ্র বাংলায় রক্তের সংকটঅসহায় স্বজনেরা,

পুষ্পেন্দু মজুমদার.
জরুরি রক্তের প্রয়োজন,দিনভর রক্তদাতা খুজে হয়রান।অন্যান সময় খুব একটা সম্যসা হয় না,কিন্তুু করোনা ভাইরাস সংক্রামন কালে রক্তদাতাদের অনেকেই হাসপাতাল যেতে রাজি নয়,অন্যদিকে যানবাহন সম্যসা।
অনেক সময় ডোনার ম্যানেজ করা গেলেও যানবাহন ব্যাবস্হা করাটা তাদের আওতার বাহিরে।তা ছাড়া হাসপাতাল যাওয়াটা এখন নিরাপদ নয়।নেগেটিভ গ্রুপের রক্তের অভাব কম বেশি সব সময় থাকে,কিন্তুু করোনা ভাইরাস এর কারনে মিলছে না পজেটিভ রক্তও।
স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন এ কাজ করে যাচ্ছে অনেকগুলো সংগঠন।
শারদাঞ্জলি ব্লাড ব্যাংক এর এডমিন পুষ্পেন্দু মজুমদার বলেন রক্তদাতা হাসপাতাল এ যেতে চাচ্ছে না,আবার যেতে চাইলে তাদের জন্য যানবাহনের ব্যাবস্হা করা যাচ্ছে না।সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে জরুরি রক্তের প্রয়োজনে যানবাহন এর ব্যাবস্হা করে দেওয়ার জন্য।
স্বেচ্ছাসেবি জিকু দাশ এর কাছ থেকে জানতে চাইলে বলেন,এখন পরিস্হিতি খুবই খারাপ।রক্ত দাতারা গ্রামে চলে গেছে,অনেক রক্তদাতা রক্ত দিতে চাইলে ও পরিবার যেতে দিচ্ছে না।আর যাহারা দিতে চাচ্ছে,যানবাহনের জন্য যেতে পারছে না।
বৃহওর কুমিল্লা ব্লাড ব্যাংক(দাউদকান্দি শাখা)
আমাদের বিভিন্ন এলাকার রক্তদাতাদের সমন্বয়ে লকডাউন মেনে আপাতত রক্তদান চালিয়ে যাচ্ছি। তবে যে এলাকায় ডোনার সংকট সেক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী উপজেলার ডোনার এনে চালাচ্ছি।তবে ডোনারদের সহযোগিতা পাচ্ছি বলেই আমরা এখনো রক্তদান চালিয়ে যেতে পারছি। ডোনাররা রাস্তায় চলাচলে কোন সমস্যায় পড়লে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে ঝামেলা শেষ করে থাকি।
এখন পর্যন্ত আমাদের কোন ডোনারকে কোথাও আটকিয়ে /বাঁধা দিয়ে রাখেনি।সর্বোপরি, সকল স্বেচ্ছাসেবী এবং ডোনারদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই মহামারীর সময় আমাদের পাশে থাকার জন্য।
বৃহওর কুমিল্লা ব্লাড ব্যাংক,দাউদকান্দি শাখা সভাপতি মোঃমনির হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে বলেন রক্ত দাতাদের রাস্তায় চলাচলে কোন সম্যসা হলে আমরা প্রসাশনের সহযোগিতা নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি,কুমিল্লাতে কোন সম্যসা না হলে ও ঢাকাতে যানবাহনের সম্যসা হচ্ছে।তবে রক্তদাতা এখন বাহির হচ্ছে না,পরিশেষে সকল স্বেচ্ছাসেবিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন,যাতে করে এই মহামারিতে পাশে থাকার জন্য।
রক্তিম ব্লাড ডোনার সোসাইটির এডমিন ক্লিনটন দাশ এর কাছে জানতে চাইলে বলেন,যেখানে করোনার ভয়,,সেখানেই পাওয়া যাচ্ছে রক্তদাতাদের আসল পরিচয়। ভয় ভীতি উপেক্ষা করে আসছে রক্তদানে। ক্ষুন্ন করে রোগীরা খুজতেছে রক্তের সন্ধান,,সহজেই পাচ্ছে না কোথাও এই সমস্যার সমাধান। কেউ বা আছে বাড়িতে কেউ বা বাসাই,,বের হতে দিচ্ছে না করোনার ভয়ের আশায়। এরপর ও ভয়কে জয় করে ছুটে আসছে মানবতা প্রেমি পাগল ভাই বোনেরা। মানবতার মহৎ স্লোগান টা বুকে ধারণ করে।
"এসো করি রক্তদান"
"বাচিঁয়ে তুলি শত প্রাণ"
সবার একটায় চাওয়া এই সংকট কালীন সময় যেন রক্তের অভাবে কাউকে মরতে না হয়।সরকারের কাছে সকল স্বেচ্ছাসেবিদের জোর দাবি জরুরি রক্তের প্রয়োজন যানবাহনের ব্যাবস্হা করা।