সোনাইমুড়ীতে শিশুকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করলো সৎ "মা"
মোরশেদ আলম,সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে বালিশচাপা দিয়ে শিশু হত্যার পর লাশ কাঁথা দিয়ে মুড়িয়ে রাখার অভিযোগে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাবা ওমর ফারুক।
শনিবার দিবাগত রাতেই পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে হত্যার অভিযোগে সৎ মা নুপুর (২২) কে আটক করে।
"মা" নুর নাহার অভিযোগ করে জানিয়েছেন, বিগত ২০১৩ ইং সালে পারিবারিকভাবে তাকে বিবাহ করে উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের পদিপাড়া গ্রামের জাফর মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি পুত্র সন্তান হলে তার নাম রাখা হয় আব্দুল্লাহ আল নাফিজ (৮)। শিশুটি শাহানাপাড় একটি এতিমখানায় পড়ালেখা করত। তার পিতা ওমর ফারুকের সাথে একই গ্রামের নুপুর নামে এক মেয়ের সাথে মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক হলে এক পর্যায় সে ঐ মেয়েটিকে বিবাহ করে। পরে তার প্রথম স্ত্রী সামছুন নাহারকে ২০১৯ ইং সালে তালাক প্রদান করে।
মা হারা শিশুটি এতিমখানা থেকে বাড়ীতে এনে তার সৎ মা নির্যাতন করত। তার পিতার অনুপস্থিতে তার সৎ মা শনিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে ঐ শিশুটিকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে কাঁথা দিয়ে লাশ মুড়িয়ে খাটের উপর শুইয়ে রাখে বলে জানাযায়। পরে তার পিতা বাড়ীতে এসে তার সন্তানকে চারদিকে খোঁজাখুঁজি করে সৎ মাকে অন্যের ঘর থেকে ডেকে আনে। পরে বিছানায় (খাটের) উপর কাঁথা উঁচু করে মুড়ানো দেখে কাঁথা সরিয়ে দেখে শিশুটির লাশ। তার নাকের পাশ দিয়ে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
পরে খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সৎ "মা" নুপুরকে আটক করে। রবিবার সকালে শিশুটির পিতার ওমর ফারুক হত্যার অভিযোগ এনে সোনাইমুড়ী থানায় একটি মামলা করেছেন।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি তদন্ত জিসান আহম্মেদ জানান, হত্যার অভিযোগে শিশুটির পিতা তার সৎ মাকে বিবাদী করে মামলা করেছেন। সৎ "মা"কে আটক করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।