পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী জেএসএস,ইউপিডিএফকে নিষিদ্ধকরণের দাবী জানাচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ

 প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২০, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন   |   চট্টগ্রাম


মোঃ আরিফুল ইসলাম,মাটিরাঙ্গা,খাগড়াছড়ি:

পার্বত্য চট্টগ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে কয়েক হাজার পাহাড়ি সন্ত্রাসী। এরা জেএসএস, ইউপিডিএফসহ পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক বিভিন্ন আঞ্চলিক দল ও গোষ্ঠীর সদস্য। এদের ভাণ্ডারে রয়েছে রয়েছে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্র।


রয়েছে সামরিক পোশাকের আদলে কমব্যাট পোশাক, ওয়াকিটকিসহ নানা সরঞ্জাম। সামরিক কাঠামো তৈরি করে তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে সশস্ত্র সংগঠনগুলো।


তাদের রয়েছে নিজস্ব সেনাপ্রধান, আলাদা আলাদা কোম্পানি, বিভিন্ন উইং, শরীরে থাকে বাহিনীর পোশাক, হাতে অত্যাধুনিক ওয়াকিটকি, কাঁধে চকচকে ভারি ও দামি অস্ত্র। এরকম প্রায় কয়েক হাজার রয়েছে পার্বত্য জেলাগুলোতে। তারা প্রত্যেকেই প্রশিক্ষণ পাওয়া দক্ষ ও ক্ষিপ্র। ভারত ও মিয়ানমারের সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চলগুলোতে তাদের বিচরণ। শুধু পোশাক আর অস্ত্র নয় তাদের রয়েছে নিজস্ব পরিচয়পত্র, মুদ্রা ও পতাকা। পাহাড়ে জুম্মল্যান্ড ও স্বায়ত্তশাসিত সরকার গঠনকে টার্গেট করে নীরবে সশস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেছে এই সশস্ত্র সংগঠনগুলো।

 ইউপিডিএফের সামরিক শাখার তিনটি কোম্পানি রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, জাগুয়ার কোম্পানি (খাগড়াছড়ি), ড্রাগন কোম্পানি (রাঙ্গামাটি) ও ঈগল কোম্পানি (বাঘাইছড়ি)। এদের কাছে রকেট লঞ্চার, ১৪-এমএম, এম-১৬, এসকে-৩২, সেনেভা-৮১, এম-৪ ও এম-১-এর মতো ভয়াবহ অস্ত্রসহ প্রায় এক হাজার অত্যাধুনিক ও ভারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। তবে এদের কোনো স্থায়ী সামরিক ক্যাম্প নেই। সবগুলোই ভ্রাম্যমাণ।

চট্টগ্রাম এর আরও খবর: