নাটোরে পঞ্চম বাংলাদেশ ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলায় উত্তরা গণভবনকে সাজানো হয়েছিল নতুন সাজে।
জাহিদ হাসান (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরে পঞ্চম বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলা উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠান হয়েছে নাটোরের উত্তরা গণভবন এবং রানী ভবানী রাজবাড়ীতে। এজন্য দর্শনার্থীদের প্রবেশ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়। তবে মিলনমেলাকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে শহরজুড়ে। উত্তরা গণভবনকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষ ও সংস্কৃতিকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। রাজশাহীতে উন্মুক্ত আয়োজন হলেও নাটোরে সংরক্ষিত করায় ক্ষোভ জানান তারা। গতকাল দুপুরে নাটোরের রানী ভবানী রাজবাড়ী পরিদর্শনে আসেন ভারতের প্রতিনিধি দলসহ অনুষ্ঠানের অতিথিরা। এর আগে রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ী পরিদর্শন করেন তারা।
ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব বর্মা। এছাড়া ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীসহ বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের আরও ২ মন্ত্রী, বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলার আহ্বায়ক রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক যথাক্রমে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। অন্যদের মধ্যে আব্দুল কুদ্দুস এমপি, শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি, শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি, সংরক্ষিত নারী এমপি রত্না আহমেদ, নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা ও ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের প্রধান সমন্বয়ক এ এস এম সামছুল আরেফিন উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে নাটোর সার্কিট হাউজে মধ্যাহ্ন ভোজের পর গণভবনের অভ্যন্তরে বিশাল সুসজ্জিত মঞ্চে দুই বাংলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন অতিথিরা। আয়োজনের মধ্যে ছিল দুই দেশের নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী। এছাড়া বাঙালি পিঠাপুলিসহ নানান খাবারেরও আয়োজন ছিল সেখানে। সেখানে দুই দেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন অতিথিরা। মিলনমেলাকে কেন্দ্র করে নাটোরের উত্তরা গণভবন ও রাজবাড়ূকে নতুন রূপে সজ্জিত করা হয়েছে। উত্তরা গণভবনের নতুন মাত্রা যোগ করেছে আলোকসজ্জা। তবে সাংস্কৃতিক মিলনমেলা শেষে ঘরোয়াভাবে করে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান না করায় ক্ষোভ জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মীসহ নাগরিকরা। এই মিলনমেলা দুই দেশের বন্ধন ও সম্পর্ককে আরও সৃদৃঢ় ও সুন্দর করবে বলে প্রত্যাশা অংশগ্রহণকারীদের। বাংলাদেশ-ভারত সাংস্কৃতিক মিলনমেলার আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এ ধরনের আয়োজন দুই দেশের সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। এছাড়া পর্যটনের অপার সম্ভাবনার দ্বারও উন্মুক্ত হবে। দেশের অর্থনীতির বন্ধনও আরও বাড়বে। কারণ সম্পর্ক গভীর হলেই লেনদেনও নতুন মাত্রা পায়। এই মেলা দুই দেশের নানা সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এমন আয়োজন করা হবে বলে জানান তিনি। এর আগে তারা রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়ীও পরিদর্শন করেন।