মুকসুদপুর থানার ১৬ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত।

শামীম আহমেদ।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছোবলে প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এরইমধ্যে করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ও বিড়ম্বনা অন্তহীন। বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থেকে।
আজ মুকসুদপুর থানার আরো ৬ জন পুলিশ সদস্যের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত হয়েছে। এ নিয়ে মুকসুদপুর থানার মোট ১৬ পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনা ভাইরাস-এর অস্তিত্ব মিলেছে বলে সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্তদের মুকসুদপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের অস্থায়ী আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। উপজেলা হাসপাতালের টিএইচও মাহমুদর রহমান জানায় ১৮ এপ্রিল মুকসুদপুর থানার নতুন ১২ সদস্যের নমুনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছিলো তাদের মধ্যে ৬ জনের শরীরের করোনা ভাইরাস পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মুকসুদপুর থানার ১৬ পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেল। উল্লেখ্য যে মুকসুদপুর থানার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কনস্টেবল মহিউদ্দীন এর শরীরে সর্বপ্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ে তারপর থেকে থানার সকল কর্মকর্তাদের মুকসুদপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তেছে, এখন তা গিয়ে দাড়িয়ে ১৬ জন পুলিশ সদস্যে।
অপরদিকে মুকসুদপুরে জ্বর, ঠান্ডা,কাশি, শ্বাস-কষ্টসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে মুকসুদপুর উপজেলার উজানী ইউনিয়নের টিকারডাঙ্গা গ্রামের আরো এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম শিখা রানী ঠাকুর (৫২) তিনি গোপাল ঠাকুরের স্ত্রী এবং তার এলাকায় মন্দির ভিত্তিক স্কুলের শিক্ষীকা ছিলেন।