গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মোটর বাইক এক্সিডেন্টে যুবকের মৃত্যু

 প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২০, ১০:৫৯ অপরাহ্ন   |   মুকসুদপুর


প্রতিবেদক : মোঃ রফিকুল ইসলাম,
বাংলা একটা প্রবাদ আছে 
"মারে আল্লাহ রাখে কে,
 রাখে আল্লাহ মারে কে"...
আরেকটি  প্রবাদ আছে :
"সাবধানের মাইর নাই"...
তেমনি অসাবধানতার জন্য
বুধবার রাত ১০ ঘটিকার সময়
সুমন দে(২০) মোটর বাইক এক্সিডেন্টে মৃত্যু বরণ করেন । যিনি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার অন্তর্গত
উজানি বাজারে অনিল কুণ্ডর মুদি  দোকানে কাজ করতেন ।
অনিল কুন্ডুর ভাষ্যমতে : সুমন দে বুধবার আনুমানিক রাত দশটার একটু আগে মোটরসাইকেল নিয়ে অন্য এক কর্মচারীর বিবাহ অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল...
এরপর রাতে সুমনের মোবাইল বন্ধ পেয়ে তাকে অনেক বার ফোন দেয়া হয় এবং খোঁজাখুঁজি করা হয় । বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পুকুরে মোটরসাইকেল ভাসতে দেখে গ্রামবাসী-পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় । আমি খবর পেয়ে দেখি সুমন দে মোটর বাইক এক্সিডেন্টে মৃত্যু বরণ করেছে ।
মুকসুদপুর থানার ওসি তদন্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন : "সুমন মোবাইলে কথা বলতে বলতে দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালাচ্ছিল এবং নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনের পুকুরে পড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুবরণ করে । আমরা এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বৃহস্পতিবার  সকালে খবর পেয়ে সুমন দের লাশ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি ।
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুব সমাজের পথনির্দেশক ও ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের মনোনীত একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী -"জনাব বদরুজ্জামান এজাজ"
বলেন-"সুমন দের মৃত্যুটা আমাদের কারোরই কাম্য নয় । তবে এটা থেকে আমাদের তরুণ সমাজ শিক্ষা পেতে পারে যে মোটর সাইকেল চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা যাবে না এবং মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে" ।
এখানে উল্লেখ্য যে, সুমন দে সালথা থানার অন্তর্গত ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া গ্রামের সুধীর দের ছেলে ।

মুকসুদপুর এর আরও খবর: