"বরাবরের ন্যায় এবারও'দানবীর পরিবারের'সাহায্য প্রদান- শীতবস্ত্র,অন্ন ও কম্বল"...

প্রতিবেদক - রফিকুল ইসলামঃ
টাকা অনেকেরই আছে কিন্তু দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর
মন আছে ক'জনের ?
জনপ্রিয় উক্তিটি মনে পড়ে গেল
অনায়াসেঃ
" জীবে প্রেম করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর"...
এই মন্ত্রটিকে যারা মনে প্রাণে ধারণ করে বাস্তবে প্রয়োগ করে
পৃথিবীতে এমন বিরল পরিবারের মধ্যে একটি হলো -
গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ঐতিহ্য বাহী "মৃধা পরিবার" ।
প্রতিবছর শীত এলেই প্রায় ৫০০ কম্বল, শীতবস্ত্র, রেইনকোট ও একবেলা আহারের ব্যবস্থা করেন সাহায্য গ্রহন করতে আসা প্রায় ৮০০ মানুষের !
সাহায্য গ্রহন কারীদের নাম
ঐ পরিবারের সদস্যরা রাতের
আধারে প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা
করে মানুষের বাড়িতে যেয়ে নিবন্ধন করেন ! প্রতিবারের ন্যায় এবারও তার ব্যতিক্রম নয় !!! ভাবা যায়..!!!
যেখানে মানুষ সাহায্যই করতে চায় না,সেখানে রাতের আধারে
মানুষের বাড়িতে যেয়ে লিস্ট করা ! প্রচার বিমুখ এ পরিবারটি নাম নিবন্ধন করেন সাধারণত শ্রমজীবী, দরিদ্র ভ্যানচালক, অসহায় বৃদ্ধ, এতিম
বা প্রতিবন্ধী শ্রেনীর অসহায় মানুষের ।
খাবারের মেন্যুটা এমন ভাবে আয়োজন করা হয় যেটা বিয়ের
আয়োজনের চেয়ে কোন অংশে
কম নয় !
যাদের সৌজন্যে এই আয়োজন- এটা একদিনে শুরু হয় নি! তাদের বাবা গুনী মানুষ জনাব
আবুল বশার মৃধা আমৃত্যু দরিদ্র মানুষকে দান করে গেছেন ।
পেশায় স্কুল শিক্ষক এ মানুষটি
নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন কর্ম জীবনে দু'বার
গোপালগঞ্জের শ্রেষ্ঠ শিক্ষক
নির্বাচিত হয়ে !
যেখানে ঘুনে ধরা এ সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে দুর্নীতি আর লুটপাটের করাল গ্রাস সেখানে প্রতি বছর প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সমাজের নিপীড়িত মানুষের সেবা করা
নিঃসন্দেহে একটি মহৎ পরিবারের ঐতিহ্যকে ধারণ করে ! এ মহান দানশীলতা ছড়িয়ে যাক বিশ্বভূবণময় !
ঐতিহ্য বাহী মৃধা পরিবারের মতো অন্যান্য অর্থ বিত্তবানরা
এগিয়ে আসুক মানব হিতকর কাজে - এটাই সুশীল সমাজের ব্রত !!
উক্ত পরিবারের একজন সচিব (মোঃ খায়রুল বশার বিদ্যুৎ),
একজন ব্যবসায়ী ও কন্ট্রাক্টর (মোঃআজিজুল বশার এলিন)
একজন সংসদ ভবন কর্মকর্তা(নিছারুল বশার নিপুন),
ডিগ্রিধারী মানুষটি বাড়িতে থেকে ঐতিহ্য বাহী এ পরিবারটা
দেখাশোনা করেন( মোঃ মঞ্জুরুল বশার)..
পরিবারের দ্বিতীয় ছেলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে Deputy Chief Revenue Officer(Market Branch)
হিসেবে কর্মরত থাকা মোঃ মনিরুজ্জামান মৃধাই সকল
মানব উন্নয়ন ও কল্যাণকর কাজে সর্বদা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন সুদীর্ঘ
বিশ(২০) বছরেরও বেশি সময়
ধরে !
জীবন্ত কিংবদন্তি মহান এ মানুষ টি বলেনঃ
"আমি একজন অতি সাধারণ
মানুষ তাই গণমানুষের দুঃখ কষ্ট
আমি তথা আমার পরিবার বুঝতে পারে । এলাকার দুঃখী মানুষের পাশে ছিলাম, আছি,থাকবো ইনশাআল্লাহ" !
সাহায্য গ্রহন করতে আসা
ভ্যান চালক মোঃ সিদ্দিক মুন্সী
বলেছেনঃ "পূর্ব পুরুষ থেকেই ঐতিহ্য বাহী মৃধা পরিবারটি মানুষকে নিঃস্বার্থ
ভাবে সহযোগিতা করে আসছেন,মহান সৃষ্টি কর্তা তাদের
মনের সকল আশা পূরণ করুন-আমিন" !!!
উল্লেখ্য এ বছরেই উক্ত পরিবারটি চক্ষু ক্যাম্প
করে ছানি বাছাই ও অপারেশনের মাধ্যমে
প্রায় একশত অসহায় দৃষ্টিহীনের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়েছেন !