খলিল বিফুল ও সাধারন সম্পাদক পুষ্পেন্দু মজুমদার এর শুভেচ্ছা।

 প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২০, ০৯:১২ অপরাহ্ন   |   চট্টগ্রাম


দুর্গা পূজা উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ সভাপতি ইব্রাহচট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

 শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সভাপতি ইব্রাহিম খলিল বিফুল ও সাধারন সম্পাদক পুষ্পেন্দু মজুমদার। 


সভাপতি তার বাণীতে দেশের চিরাচরিত সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রেখে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও সারাদেশে যথাযথ উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আবহমানকাল ধরে এ দেশের হিন্দু সম্প্রদায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে নানা উপাচার ও অনুষ্ঠানাদির মাধ্যমে দুর্গাপূজা উদযাপন করে আসছে। দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় উৎসব নয়, সামাজিক উৎসবও। দুর্গোৎসব উপলক্ষে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিবার-পরিজন, পাড়া-প্রতিবেশী একত্রিত হন, মিলিত হন আনন্দ-উৎসবে। তাই এ উৎসব সার্বজনীন।’

ইব্রাহিম খলিল বিফুল বলেন, ‘দুর্গাপূজার সঙ্গে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মিশে আছে। ধর্মীয় উৎসবের পাশাপাশি দুর্গাপূজা দেশের জনগণের মাঝে পারস্পরিক সহমর্মিতা ও ঐক্য সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শারদীয় দুর্গোৎসব সত্য-সুন্দরের আলোকে ভাস্বর হয়ে উঠুক, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে বন্ধনকে আরও সুসংহত করুক।’


সভাপতি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে। জাতীয় জীবনে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মানও অব্যাহতভাবে বাড়ছে। কমছে দারিদ্র্যের হার। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সম্মিলিত প্রয়াস।’


তিনি বলেন, ‘মানবতাই ধর্মের শাশ্বত বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায় ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে, অন্যায় ও অসত্য থেকে দূরে রাখে, দেখায় মুক্তির পথ। তাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি সকলকে মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। দুস্থ ও অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাঙালির চিরকালীন ঐতিহ্য। সম্মিলিতভাবে এ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিতে হবে দেশের সামগ্রিক অগ্রযাত্রায়।’


তিনি প্রত্যাশা করেন যে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতিতে ঋদ্ধ অসাম্প্রদায়িক চেতনা, পারস্পরিক ঐক্য, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে উদ্বুদ্ধ করুক, বিশ্ব মানবতার জয় হোক।


তিনি শারদীয় দুর্গোৎসবের সাফল্য কামনা করেন।


অন্যদিকে সাধারন সম্পাদক পুষ্পেন্দু মজুমদার  শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ দেশের সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বলেন, বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের নিরাপদ আবাসভূমি। ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। 


তিনি বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সকলে মিলে যুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। তাই এই দেশ আমাদের সকলের।’


তিনি আশা করেন, বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্পদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন অটুট রেখে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে সক্ষম হবেন।

গতকাল  সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। ২৬ অক্টোবর শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনব্যাপী এ উৎসবের।

চট্টগ্রাম এর আরও খবর: